Anarchist Manual - A Cannibal's Guide to Eating the Rich

অ্যানার্কিস্টদের একটা বেশ কমন স্লোগান আছে, “Eat the rich!” তারা এইটা আসলেই মিন করে বলে নাকি আইরনি করে বলে সেটা তারাই জানে কিন্তু স্লোগানটা আমাকে বেশ ভাবায়। বাংলাদেশে অ্যানার্কিস্ট তেমন নাই, তবে eat the rich ব্যাপারটা অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। দেশের টপ ১% কে খেয়ে ফেলা গেলে খাদ্য ঘাটতি বাদেও যানজট, হাউজিং ক্রাইসিস, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং সব সমস্যাই বহুলাংশে কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। যাই হোক, খেয়ে ফেলতে হবে বললেই খাওয়া যাবে না। মানুষ একটা সিভিলাইজড প্রাণী। খেতে হলে ঠিকমতো রান্না করা লাগবে যেন খেতে সুস্বাদু হয়। খাদ্য সুস্বাদু করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ঠিকভাবে রান্না করা। কাঁচামালের পরে রান্নার প্রণালীই খাদ্যের স্বাদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখে।

যে কোন প্রাণী রান্না করতে হলেই শুরুতে কাটাকাটি করতে হয়। যেহেতু যত ফ্রেশ মাংস রান্না করা যায়, তত বেশি টেস্টি হয় সেজন্য লিভারই থাকে আকর্ষণের মূলে। এর কারণ হচ্ছে লিভার ম্যানেজ করা সবচেয়ে সহজ। পেটের কাছে কেটে সহজেই লিভার বের করে আনা যায়। যেহেতু হাড় থাকে না, সেহেতু লিভার কাটাকাটি করাও তেমন কঠিন ব্যাপার না আর তাছাড়া স্কিনিং করারও কাহিনী নাই। মানুষের বেলায়ও এটাই নর্ম। পাজরের হাড় যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে নাভী পর্যন্ত একটা স্লাইস দিয়ে পেট ওপেন করতে হবে (ডাক্তাররা অবশ্য অন্য কথা বলবে। কিন্তু যেহেতু বডির সব অর্গানই প্রোপারলি ইউজ করা লাগবে, সেহেতু ডাক্তারদের মতো একুরেসি দরকার নাই।) এরপর লিভার বের করে নিতে হবে। নজর রাখতে হবে যেন পিত্তথলী ফেটে না যায়। কারণ পিত্তরস প্রচন্ড তিতা। কোন কারণে মাংসের সংস্পর্শে এলে টেস্ট খারাপ হবে কেবল।

লিভারের চারপাশে একটা লেয়ারের মতো থাকে। এটা সরানো বেশ সহজ। প্রথমে হাল্কা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এতে করে বাইরের প্রলেপটা শক্ত হয়ে যায়। এরপর চামচ দিয়ে সহজে আলাদা করে ফেলা যায়। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে রান্নার জন্য প্রস্তুত করা যাবে। সমস্যা হচ্ছে, গরম পানিতে দেয়ার পর বাইরের প্রলেপের মতো লিভারও একটু শক্ত হয়ে যায়। যদিও এটা তেমন সমস্যা না, বাঙালি এই শক্ত লিভার খেয়েই অভ্যস্থ। তবে এই কাজটা না করলে একটা সফটনেস থাকে যেটা বাটার দিয়ে ভাজার সময় পাওয়া যেত।

হিউম্যান লিভার বেশ সেফ একটা খাবার। মেরুভাল্লুক শীতের জন্য প্রচুর ভিটামিন-এ জমা করে রাখে তার লিভারে। সে লিভার একটু খেলেই মানুষ মারা যাবে। কিন্তু মানুষের লিভারে এই সমস্যা নেই। পুরো লিভার পেটে চালান করে দিলেও মরা লাগবে না। তার উপর সর্বভুক প্রাণী হওয়ায় মানুষের লিভার বেশ ব্যস্ত থাকে বলা যায়। এজন্য এতে একটা ফ্লেভারফুল ব্যাপার থাকে যেটা অন্য কোন প্রাণীর লিভারে সহজে পাওয়া যায় না। যাই হোক মানুষের লিভার রান্নার দুইটা ভালো প্রসেস আছে - আদা রসুনবাটা আর পেঁয়াজ দিয়ে মসলাসহ রান্না করা। আর নাহলে হাল্কা লবণ মরিচ দিয়ে ম্যারিনেট করে বাটার দিয়ে ভাজা। (সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস দেখে ফ্লাভা বিনের রেসিপির কথা চিন্তা করার দরকার নাই। ওইটা আপনাকে দিয়ে হবে না)

এইটা মেবি আরো লিখব। কিন্তু লিখার জন্য রিসার্চ করা লাগবে। যদি লিখি-ও, ফেসবুকে পাবলিশ করবো না। আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে নিজে থেকে চেক করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।