আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন
মস্কো এয়ারপোর্টে বোর্ডিং-এর লাইনে দাঁড়িয়ে দেখি আমার পিছে এক কিউট বাঙালি আপু আর তার হাজবেন্ড দাঁড়িয়ে আছেন। মনে মনে একটু আহত হলাম। আর কয়েক বছর আগে জন্ম নিলে এই লোকের জায়গায় আমি থাকতে পারতাম। মনে মনে কষ্ট পেলেও ভদ্রতা দেখিয়ে কথা বলাই যায়। জিজ্ঞেস করলাম “আপনারা কি মস্কোতে থাকেন নাকি?” ভদ্রলোক জানালো, “আমি মস্কোতে থাকি। আর উনি পিটার্সবার্গে।”
দুইজন আলাদা জায়গায় থাকে শুনে একটু পুলকিত বোধ করলাম। তাও ভাবলাম একটু কনফার্ম হই। বললাম, “ওহ আমি ভাবলাম আপনারা একসাথেই…” বলতে না বলতেই সুন্দ্রী আপু বলে ফেললেন, “না না, আমি একাই যাচ্ছি…” স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। কিন্তু উনি কথা শেষ করার আগেই এটা করা উচিত হয় নাই। কথা শেষ হতে হতে স্বস্তি মিলিয়ে গেল। “…আমার উনি বিজনেস নিয়ে বিজি এইজন্য আমার সাথে যাবে না।”
যাই হোক নিরাশ হওয়ার কিছু নাই। সুন্দরী আপুদের সাধারণত অধিকতর সুন্দরী ছোট বোন নাহয় কাজিন থাকে। ভাবলাম একটু কথাবার্তা বলি, এরপর ছোট বোনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা যাবে। কথায় কথায় জানলাম ৫ বছর পর দেশে যাচ্ছেন। কিন্তু কারণ জানতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। আপু দেশে যাচ্ছেন কাজিনের বিয়ে অ্যাটেন্ড করতে। দ্বিতীয়বারের মতো এত দেরিতে জন্ম নেয়া নিয়ে দুঃখ অনুভব করলাম। আপু ডাক ধীরে ধীরে ভাবী ডাকে রূপ নিল।
পরে উনাকে জিজ্ঞেস করলাম যে কোন জেলায় থাকেন। বললো বরিশাল। শুনে বেশ ভালো লাগলো। নিজেকে বুঝ দিলাম, “আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।”